চলতি মার্চ/২০২৪ হতে প্রতি ইংরেজী মাসের ১ম বৃহস্পতিবার নি¤œস্বাক্ষরকারীর দপ্তর কক্ষে সকল ধরনের কাজের অগ্রগতি সম্পর্কিত বিষয়ে সকাল ১১.০০ ঘটিকায় সভা অনুষ্ঠিত হবে। উক্ত সভায় নির্বাহী প্রকৌশলী ও উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলীগনকে যথাসময়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগের সকল কাজের অগ্রগতির প্রতিবেদনসহ (অগ্রগতি শূণ্য হলেও তালিকায় উল্লেখ থাকতে হবে) উপস্থিত থাকার জন্য বলা হলো।
সাম্প্রতিক অর্থন, চ্যালেঞ্জ এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
সাম্প্রতিক বছরসমূহের (৩ বছর) প্রধান অর্থনসমূহ।
বন্যার ক্ষয়-ক্ষতি হতে দেশের জনসাধারণের জানমাল রক্ষা ও খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড বন্যা নিয়ন্ত্রণ, নদীভাঙ্গনরোধ, নদীচেজিং, সেচ ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন, জলাবদ্ধতা দূরীকরণ ও ভূমি পুনঃরুদ্ধারের কাজ করছে। পাত ৩(তিন) বছরে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের ময়মনসিংহ পওর সার্কেল, বাপাউবো, ময়মনসিংহের বিভিন্ন প্রকল্লোর আওতায় ১৪.০৫ কিঃমিঃ নদী তীর সংরক্ষণ, ১৭.০০ কিঃমিঃ বাঁধ নির্মাণ, ২.৬৭৭ কিঃমিঃ বাঁধ পুনরাকৃতিকরণ, ১৯৫৬০ কিঃমিঃ এটী পুনঃখনন, ১৪.০০কিঃমিঃ নিষ্কাশন খাল পুনঃখনন, ৫২০.০০ কিঃমিঃ যুবয় বাঁধ নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে।
অত সার্কেলের আওতায় ০৭ (ছয়)টি এডিপিভুক্ত প্রকল্পের কাজ চলমান আছে। চলমান প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করতে দিয়ে নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এর মধ্যে প্রধান সমস্যা হলো ভূমি অধিগ্রহণের সমস্যা। তাছাড়া ভূ-প্রাকৃতিক অবস্থান ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ভৌত কাজ টেকসই করা কঠিন। শুদ্ধ মৌসুমে উজানে পানি প্রবাহ বাঁধাগ্রস্থ হওয়ায় পানির স্তরের ক্রমাবনতি ও আকস্মিক বন্যার কারণে বাস্তবায়িত কাজ আংশিক বা সম্পূর্ণ অধিগ্রন্থে হয়। এর ফলে মানুষের মধ্যে বিরূপ মনোভাব সৃষ্টি হয়। অনেক সময় ড্রেজিংকৃত/পুনঃখননকৃত নটী উজান থেকে নেমে আসা পানি ধারা সহজেই ভরাট হয়ে যায়। নদী মাতৃক দেশ হওয়া সত্ত্বেও বর্ষা মৌসুমে পানির আধিক্য এবং শুষ্ক মৌসুমে পানির দু'স্তাপাতা বাংলাদেশের প্রকৃত বাস্তবতা। আবার প্রকৃতিগতভাবে বাংলাদেশের নদীতে পানি জমার কারণে নদীর তলদেশ ভরাট হয়ে এজ পানি ধারণ ক্ষমতা হ্রাস পায়। ফলে বর্ষা মৌসুমে উজান থেকে অতিরিক্ত পানি প্রবাহের কারণে নদী তীরে চাপান এবং তীরবর্তী এলাকায় বনা দেখা দেয়। ভারত থেকে পাহাড়ী ঢলে নেমে আসা ব্যাপক জলরাশি দ্রুত নিষ্কাশন হতে পারে না এবং নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পেয়ে রпоси ডুবহু বাঁধ উপচে হাওড়ের ভিতরে পানি প্রবেশ করায়, আগাম বন্যায় প্রায়শ হাওড়াঞ্চলের ফসল ঋতগ্রিস্ত হয়। অন্যান্য সেক্টরে সারা বছর কাজ করার সুযোগ থাকলে পানি সম্পদ সেক্টরে অক্টোবর মাসে বন্যার পানি কমার পর হতে শুরু করে নভেম্বর-এপ্রিল মাত্র ৬ (ছয়) মাস সর্বোচ্চ পাওয়া যায় কাজ সম্পাদনের জন্য। এই অতি সীমিত সময়কালের মধ্যে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, পাহাড়ী ঢল বিবিধ সমস্যার উত্তরণ করে টেকসই চৌতকাজ বাস্তবায়ন এ সেক্টরের প্রথান চ্যালেঞ্জ।
অবিষ্যৎ পরিকল্পনা:
সরকারের পেকার-২০০৪১ এর বাস্তবায়নের মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সাল নাগাদ একটি সমৃদ্ধ দেশের। মর্যাদা অর্জন করার রোডম্যাপ সরকার গ্রহণ করেছে। SDG এর ৩টি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে জীঃ, ১টি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কো-নীচ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে এসোসিয়েট হিসেবে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতায় বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড দায়িত্ব পালন করছে। জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ সংক্রান্ত ঝুঁকি অর্থনীতির বিভিন্ন খাতসহ জাতীয় পর্যায়ের প্রতীয় ও লক্ষ্য অর্জনে সরকার 'বাংলাে পরিকল্পনা-২১০০" নামে বাংলাদেশের প্রথম শতবর্ষী মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। মহাপরিকল্পনাটির প্রায় ৮০%, বাস্তবায়নের পুত্র দায়ির পানি সাম্পদ মন্ত্রণালয় হতে অর্ণিত এবং যে লক্ষ্যে ইতোমধ্যে প্রকল্প গ্রহণ করে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। অত্র সার্কেলের আওতাধীন এটি জেলার প্রত্যেক উপজেলায় এবং 'সকল সিটি কর্পোরেশনের ছোট নদী, খাব ও জলাশয় পুনঃখনন প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। নেত্রকোনা ও কিশোরগঞ্জে সে প্রকত ও দুরন্ত বীথ প্রকাগ্রার কাজ চলমান রয়েছে। এছাড়া ময়মনসিংহে আয়মান নদীতীর সংরক্ষণ প্রকল্পের ডিদিনি পরিকল্পনা অপেক্ষায় রয়েছে।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS